ফের টানা দরপতনে পুঁজিবাজার

আবার টানা দরপতনে দেশের পুঁজিবাজার।বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সব মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেন।
এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস পুঁজিবাজারে দরপতন হলো। এই দরপতনে বড় ভূমিকা ব্যাংক খাতের। প্রতিদিন ব্যাংক খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম কমার প্রভাব অন্য খাতে পড়ছে।
এর আগে ব্যাংকের কল্যাণেই পুঁজিবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। প্রায় এক মাস ধরে চলা উত্থান প্রবণতায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৮০০ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে লেনদেন বেড়ে হাজার কোটি টাকার ঘরে চলে আসে। এর মধ্যে ৩ আগস্ট চলতি বছরে প্রথমবারের মতো এক হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।
এরপর আবার দরপতন শুরু হয়। গত দুই কার্যদিবসের মতো বৃহস্পতিবারও পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বৃদ্ধি দিয়ে। ফলে শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই একের পর এক ব্যাংকের শেয়ার দাম কমতে থাকে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতের ওপরও। ফলে লেনদেন শেষ হয় পতনে।
সপ্তাহের মেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের, কমেছে ২৬৮টির। আর ৫১টির দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে তিনটির দাম বেড়েছে, কমেছে ২৮টির। আর ৫টি ব্যাংকের শেয়ার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৭ পয়েন্ট কমে হয়েছে ২ হাজার ৯৭ পয়েন্ট।
লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।লেনদেন হয়েছে ৭০৬ কোটি ৪০ টাকা, যা আগের কার্যদিবস ছিল ৮৮৯ কোটি ৯৫ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ১৮৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। কোম্পানিটির ৩১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৩ লাখ টাকার। ১৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং।
ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- মালেক স্পিনিং, বেক্সিমকো ফার্মা, যমুনা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ওরিয়ন ইনফিউশন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস।
সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৬২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৭টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৩৯টির। ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা।, যা আগের কার্যদিবস ছিল ৫৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।