মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ , ১৬.বৈশাখ.১৪৩১

কক্সবাজার প্রতিনিধি  

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ৭ জানুয়ারি ২০২৪

জয়ের দ্বারপ্রান্তে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ ইবরাহিম

জয়ের দ্বারপ্রান্তে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ ইবরাহিম
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলার আলোচিত আসন চকরিয়া-পেকুয়ায় (কক্সবাজার-১) এমপি হিসেবে জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। তার সঙ্গে এ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে থাকা বর্তমান সাংসদ জাফর আলম নির্বাচন শেষ হওয়ার মাত্র ৫০ মিনিট আগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

তবে, প্রচারণা শুরুর পর জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং স্থানীয় ভোটাররা ইবরাহিমের পক্ষে মাঠে নামায় পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত গণজোয়ার শুরু হয়ে ইবরাহিমকে ভোট দেন সর্বস্তরের ভোটারগণ।

ভোটাররা বলছেন, জাফর এমপি থাকাকালে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। এজন্য ভোটাররা এবার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যে কারণে নিশ্চিত পরাজয় জেনে তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মাত্র একঘণ্টা আগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

আর ভোটগ্রহণ শেষে গণনাকালে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে হাতঘড়ি প্রতীক জাফরের ট্রাক প্রতীককে টেক্কা দিয়ে পাশ হয়ে আসছে। এতে বুঝা যাচ্ছে, জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিম।

জাফর আলম আওয়ামী লীগের একাদশ সংসদের সদস্য (এমপি) হলেও এবার তাকে বাদ দিয়ে দল থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু ঋণখেলাপের অভিযোগে তার মনোনয়ন বাতিল হয়। পরে আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থন দেওয়া হয় সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীমকে। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত জাফর আলম ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেন। কিন্তু অন্তিম মূহুর্তে এসে নানা অভিযোগ তুলে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

জাফর দাবি করেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিমের পক্ষে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট ডাকাতি হয়েছে। এসব প্রতিরোধ করতে গেলে প্রাণহানি হবার সম্ভাবনা ছিল। এ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ভবিষ্যতেও তাদের সাথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এমপি জাফর।

তবে, কল্যাণ পার্টির নির্বাচন সমন্বয়কদের মতে-সুষ্ঠু নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে ভোট শেষ হওয়ার মাত্র ৫০ মিনিট পূর্বে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়া দেউলিয়াত্বের প্রমাণ। কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম তাই দেখিয়েছেন।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানান, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কেন্দ্র দখলের তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশসহ শৃংখলাবাহিনী নিরপেক্ষভাবে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছেন।

কক্সবাজারের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, সকাল হতেই শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলে নিয়মমতো বিকাল ৪টায় শেষ হয়। এখন গণনা চলছে।