সাত কার্যদিবস পর ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজার

টানা সাত কার্যদিবস দরপতনের পর দেশের পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণত দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ও মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেন।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বৃদ্ধি দিয়ে। ফলে শুরুতেই সূচকে দেখা যায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে শেষ পর্যন্ত।
লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ১৬৮ট প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের, কমেছে ১৫৪টির। আর ৭৭টির দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে হয় ২ হাজার ৭৩ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭০৩ কোটি ২ টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৭০৪ কোটি ৮৮ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ওরিয়ন ইনফিউশনের।কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার। ২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
লেনদেনে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আরও রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, রহিমা ফুড, সিপার্ল বিচ রিসোর্ট, মনোস্পুল পেপার, যমুনা ব্যাংক, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং এবং মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স।
সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৫টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।