বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫ , ২৮.শ্রাবণ.১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:২৬, ১৩ আগস্ট ২০২৫

অর্থ উপদেষ্টা

পাচার হওয়া হাজার কোটি টাকার ১১, দুইশ কোটির ১০১ কেস চিহ্নিত

পাচার হওয়া হাজার কোটি টাকার ১১, দুইশ কোটির ১০১ কেস চিহ্নিত
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ছবি:.সংগৃহীত

বিদেশে পাচার হওয়া হাজার কোটি টাকার ১১টি এবং ২০০ কোটি টাকার ১০১টি ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন  অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
    
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, পাচারকারীরা অত্যন্ত চতুর এবং জটিল প্রক্রিয়ায় অর্থ স্থানান্তর করে। টাকা পাচার যারা করে এবং যারা সাহায্য করে তারা আমার-আপনার চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান। পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার জন্য লিগ্যালওয়েতে বা আইনি প্রক্রিয়ায় পদক্ষেপ নিতে হবে। যেহেতু পাচারকারীরা বিশ্বমানের আইনজীবীদের সহায়তা নিচ্ছে। তাই তাদের মোকাবিলা করতে আমাদেরও সেরকম অভিজ্ঞ আইনজীবীর প্রয়োজন।

তিনি বলেন,  কারা টাকা পাচার করেছে সেটা চিহ্নিত করা হয়েছে। এটা একটা অগ্রগতি। দ্বিতীয়ত- কোন কোন স্থানে পাচার হয়েছে সেটাও চিহ্নিত হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেমন, লন্ডনে এক ব্যক্তির একাধিক বাড়ি জব্দ করা হয়েছে এবং সিঙ্গাপুরেও আইনি প্রক্রিয়া চলছে। টাকা ফিরিয়ে আনার চেয়েও বড় উদ্দেশ্য হলো একটি সতর্কবার্তা দেওয়া, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করে পার না পায়।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, বর্তমানে ১০০ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়েছে এমন ১১টি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে।এর সঙ্গে আরও ১২টি মামলা যোগ হতে পারে। এছাড়া, ২০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে এমন ১০১টি মামলাও চিহ্নিত হয়েছে। দেশে অনেক পাচারকারীর সম্পত্তি ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে। তবে বিদেশের সম্পত্তি ফিরিয়ে আনা কঠিন।

তিনি বলেন, শুধু দুবাই বা সিঙ্গাপুর নয়, বার্বাডোজ, এন্টিগুয়া ও আইলফ ম্যানের মতো ‘ট্যাক্স হেভেন’ হিসেবে পরিচিত দেশগুলোতেও টাকা পাচার হয়েছে, যেখান থেকে টাকা ফেরত আনা কঠিন। তিনি বলেন, শুধু একজনই যে ৪০ হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে নিয়ে গেছে। সে টাকা ফেরত আনতে পারলে আইএমএফের কাছে যেতে হতো না।

সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।