চলতি অর্থবছর রপ্তানি প্রবৃদ্ধির আশা ১৬.৫%

চলতি বছর রপ্তানি আয় ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির আশা করছে সরকার। সে হিসেবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আযোজিত সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
গত অর্থবছরের শুরুতেই আন্দোলন-সরকার বদলের ধাক্কায় অর্থনীতিতে স্থবিরতা চললেও তখন রপ্তানির আয় ১২ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি বাড়বে বলে আশা করেছিল সরকার।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সামগ্রিক রপ্তানি আয় হয়েছিল প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার।
নতুন অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে তিনি বলেন, পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫ বিলিয়ন ডলার। সেবা খাতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, তাতে রপ্তানির পরিমাণ ৮ দশমিক ৫০ বিলিয়ন আশা করছে সরকার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে পণ্য খাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৪৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৭ শতাংশ।
অপরদিকে সেবা খাতের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার, অর্জিত হয়েছে ৫ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিনসহ বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা।
এ সময় বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক অর্জনের ফলে এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জন করা সম্ভব।”
তবে এখানে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকার কথা বলে তিনি সেগুলো দূর করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।
তার ভাষায়, “গ্যাস সংকটের চ্যালেঞ্জটা আগে থেকেই ছিল। এছাড়া কাস্টমসকেন্দ্রিক বিভিন্ন সমস্যা, ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন সমস্যা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টি রয়েছে।”
খাতভিত্তিক পরিকল্পনায় দেখা যায়, তৈরি পোশাকের ওভেন খাতে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ২০ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার এবং নিট খাতে ১২ দশমিক ০১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ২৩ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।
পাট ও পাট পণ্যে প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ ধরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৯০০ মিলিয়ন ডলারের ঘরে রাখা হয়েছে। কৃষিপণ্যে ২২ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ধরে ১ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।