বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ , ১.জ্যৈষ্ঠ.১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:১৭, ৭ জানুয়ারি ২০২৪

নির্বাচনকে ‘জনগণের বিজয়’ বলছে আওয়ামী লীগ

নির্বাচনকে ‘জনগণের বিজয়’ বলছে আওয়ামী লীগ
নির্বাচন বিষয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ব্রিফিং করছেন ওবায়দুল কাদের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে 'জনগণের বিজয়' বলে অভিহিত করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি যাদের কাছে কৃতজ্ঞ তারা হলেন বাংলাদেশের জনগণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জনগণের বিজয়।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদেরকে ভোট দিয়েছে। ভোট প্রদানে কোনও প্রকার ভয়-ভীতি বা হস্তক্ষেপ হয়নি। এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা থেকে শক্তিশালী করবে।

বিএনপির ভোট বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের বর্জন করেছে। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। হরতাল-অবরোধ দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।

নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাস করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় অতীতে হরতাল-অবরোধ দিয়েছে, সহিংসতা করেছে। অপরাজনীতির কুচক্রে তারা আটকে গেছে। এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মধ্যমে জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশের বন্ধুদের। বিদেশি সাংবাদিকরা, আমাদের দেশের সাংবাদিকরা প্রত্যক্ষ করেছেন এই নির্বাচন।

আজকে মাত্র কয়েকটি বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। একজনের দুঃখজনক মৃত্যুর খবর পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পার্টির প্রধান শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, সরকারপ্রধান হয়েও স্বাধীন-নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য করতে পারেন। আজ সবাই তা প্রত্যক্ষ করেছেন। সর্বাত্মক সহযোগিতা করা, ফ্যাসিলিটেড করা, কোঅপারেশন দিয়ে শেখ হাসিনা যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই শেখ হাসিনার প্রতি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন আয়োজন ও পরিচালনায় নিয়োজিত সকলকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। গণমাধ্যমে ৩৭টি সহিংসতার খবর পেয়েছি। যা ৪২ হাজার কেন্দ্রের তুলনায় নগণ্য।

গুজব, গুঞ্জন, অপপ্রচার, মিথ্যাচারে বিএনপি-জামায়াতের কোনও জুড়ি নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা কথায় কথায় বলে— তাদের হাজার হাজার লোক জেলের মধ্যে আছে। আমার প্রশ্ন এরা কেন জেলে আছে? এটা ২৫ হাজার হবে না। আমি কথা বলেছি এ সংখ্যাটি তারা যা বলছে তার অর্ধেকেরও কম। কিন্তু কী কারণে তারা জেলে গেছে? কেউ অপরাধ করলে পার পেয়ে যাবে? তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, পরে আত্মগোপন করেছিল বিচার থেকে রক্ষা পাবার জন্য, শাস্তি থেকে রক্ষা পাবার জন্য তাদের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছে। তারা পুরনো অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে। জেলে আছে। বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে। এই বিষয়টা পরিষ্কার করার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই ঢাকা সিটিতে এবং সারা দেশে আমাদের নেত্রী সমাবেশে করেছেন, ভার্চুয়ালি সমাবেশ করেছেন। বিশাল বিশাল সমাবেশ করেছেন। সাইড বাই সাইড বিএনপিরও বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। একটা উদাহরণ দেন— তাদের পদযাত্রায়, মানববন্ধনে কেউ হামলার চেষ্টা করেছে? তাহলে কেন তারা এই অভিযোগ করে আপনাদের চিন্তা করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি তাতে নিশ্চিত বলা যায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধিকাংশ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হচ্ছে।