বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ , ১.জ্যৈষ্ঠ.১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ৩ জানুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১৮:৩১, ৩ জানুয়ারি ২০২৪

এটা আওয়ামীলীগ, পুলিশ, ইসি ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ নির্বাচন : এবি পার্টি

এটা আওয়ামীলীগ, পুলিশ, ইসি ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ নির্বাচন : এবি পার্টি
ছবি: পলিটিক্সবিডি

৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে আওয়ামীলীগ, পুলিশ, ইসি ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ নির্বাচন বলে অভিহিত করেছে এবি পার্টি, এই প্রহসনমূলক নির্বাচন কোনভাবেই জনগণের নির্বাচন নয় বলে দাবি করেছে তারা। আজ এক পদযাত্রা কর্মসূচিতে এবি পার্টির নেতারা বলেন আওয়ামীলীগ সভাপতি জনগণের দূর্ভোগ দুর্দশার প্রতি উপহাস করে কাঁঠালের বার্গার এবং কুমড়ার বেগুনী খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন কিন্তু জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছে, এমনকি কোন আওয়ামীলীগ কর্মীকেও কাঁঠালের বার্গার এবং কুমড়ার বেগুনী বানিয়ে খেতে দেখা যায়নি। তারা বলেন; কাঁঠালের বার্গার ও কুমড়ার বেগুনী’র মত ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখান করবে।

আজ বুধবার বিকেল ৩ টায় প্রহসনমূলক নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে জনমত তৈরীর লক্ষ্যে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালনকালে এসকল কথা বলেন এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ। পদযাত্রাটি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর, কাকরাইল, পল্টন সহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, এবি পার্টির আহবায়ক সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল ।

 

সমাবেশে এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, পঞ্চাশ হাজার ভুয়া মামলা দিয়ে ২০ হাজার বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে জেলে পুরে শেখ হাসিনা তার পদলেহনকারী নির্বাচন কমিশন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে একতরফা নির্বাচন করছে। এই ডামি প্রার্থী, কিছু দালাল কিংস পার্টি সাথে নিয়ে প্রহসনের নির্বাচন জনগণ মেনে নেবেনা। সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে দেশের মানুষ তার অধিকার আদায় করে নিবে ইনশাআল্লাহ।

বিএম নাজমুল হক বলেন, আগামী ৭ তারিখের একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের জন্য সকল পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে শুধু খোলা থাকবে তার পতনের পথ। আমরা তার পতনের পথ দেখেই ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।

দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, একটা প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করতে গিয়ে সরকার পুরো লেজে গোবরে অবস্থায় পড়ে গেছে। সরকারীদল নিজেদের মধ্যে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে গিয়ে কৃত্রিম দ্বন্দ্ব সংঘাত বাঁধিয়ে এখন আর কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেনা। আওয়ামীলীগ, পুলিশ, ইসি ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ কামড়াকামড়ির এই নির্বাচনে মানুষ খুব মজা পাচ্ছে। তিনি বলেন এই নির্বাচন কোনভাবেই জনগণের নির্বাচন নয়। আওয়ামীলীগ সভাপতি জনগণের দূর্ভোগ দুর্দশার প্রতি উপহাস করে কাঁঠালের বার্গার এবং কুমড়ার বেগুনী খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেলেন কিন্তু জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। এমনকি কোন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীকেও কাঁঠালের বার্গার এবং কুমড়ার বেগুনী বানিয়ে খেতে দেখা যায়নি। তিনি বলেন; কাঁঠালের বার্গার ও কুমড়ার বেগুনী’র মত ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখান করবে।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ৭ই জানুয়ারী কোন নির্বাচন হচ্ছে না, যেভাবে ৭ই জানুয়ারী আমাদের প্রতিবেশী বন্ধুদের গুলিতে নিহত ফেলানীর লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছিলো ঠিক তেমনি ভাবে আগামী ৭ই জানুয়ারী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বও কাটাতাঁরে ঝুলানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেদিনই নির্ধারিত হবে কে দেশের বন্ধু কে শত্রু। এই প্রহসনের নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারীরা জাতির কাছে নব্য রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তিনি পুলিশ বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারী, দয়া করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন না। এই নাটকের ভোটের অভিনেতা হয়ে জাতির নিকট চিহ্নিত শত্রু হবেন না।

পদযাত্রায় আরো অংশ নেন যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান,  সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, আহমেদ বারকাজ নাসির, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব ফিরোজ কবির,  সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, আব্দুর রব জামিল, মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, আমানুল্লাহ খান রাসেল, যুবপার্টি মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, দক্ষিণের নেত্রী ফেরদৌসী আক্তার অপি, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।