সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫.বৈশাখ.১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

আগামীকাল বই উৎসব

আগামীকাল বই উৎসব
ফাইল ফটো

প্রতি বছরের মতো এবারও আগামীকাল পহেলা জানুয়ারি প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম ‘বই বিতরণ উৎসব-২০২ ‘ অনুষ্ঠিত হবে।  রাজধানীর মিরপুরের ন্যাশনাল (সকাল-বিকাল) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রধান অতিথি ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।

২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রম অনুসরণে সকল ক্যাটাগরির বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ আকর্ষণীয় নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রদান করে আসছে। শিশুদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক আকর্ষণীয় করার জন্য ২০১২ শিক্ষাবর্ষ হতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক হোয়াইট পেপার, কভার পৃষ্ঠা, হিট থার্মাল পারফেক্ট বাইন্ডিংসহ চার রঙের আকর্ষণীয় মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হচ্ছে। ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ হতে পরিমার্জিত কারিকুলাম অনুযায়ী প্রাথমিকস্তেরর পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হচ্ছে। পরিমার্জিত কারিকুলামে বর্তমান বিশ্ব এবং সমসাময়িক পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

 ২০১০ সন থেকে প্রতি বছর বর্তমান সরকারের মাপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেন। এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সারাদেশে একযোগে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে বই বিতরণ উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে।

 ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা: প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির ৩০,৯৬,৯৩৯ (ত্রিশ লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার নয়শত উনচল্লিশ) জন, প্রাথমিক স্তরের ১,৮০,৭০,৫৯৪ (এক কোটি আশি লক্ষ সত্তর হাজার পাঁচশত চুরানব্বই) জন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮৪,৪৭৩ (চুরাশি হাভার চারশত তিয়াত্তর) জন। সর্বমোট ২,১২,৫২,০০৬ (দুই কোটি বারো লক্ষ বায়ান্ন হাজার হয়) জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৯,৩৮,০৩,৬০৬ (নয় কোটি আটত্রিশ লক্ষ তিন হাজার ছয়শত ছয়) টি ।

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ছয় দিন পর। নির্বাচনকে যেকোনও মূল্যে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে গত ২৮ নভেম্বর থেকে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন। তারা আচরণবিধি প্রতিপালনে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। এবারই প্রথম প্রতিটা আসনভিত্তিক সার্বক্ষণিক জুডিশিয়াল অফিসার দিয়ে ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি করা হয়েছে। উভয়ই মাঠে খুব ভালো কাজ করেছেন।